দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—-মাস্টার শফিকুল আলম

খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান

36

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা থেকে জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আপিল বিভাগের রায়ে প্রমাণ হয়েছে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কোন অপরাধ নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে বিচারিক হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে।

জননেতা এটিএম আজহারের বেকসুর খালাসের মাধ্যমে একদিকে জাতি একজন পরীক্ষিত নেতাকে পেয়েছে, আর আমরা এক জীবন্ত শহীদকে ফিরে পেয়েছি। আমরা আল্লাহর তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি।

আলহামদুলিল্লাহ। তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা ছাড়াই তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। যা ছিল বিচারের নামে চরম অবিচার। আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, সত্যকে চাপিয়ে রাখা যায় না। এই রায় মহান রবের পক্ষ থেকে হক্বের ঝলক এবং আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। উচ্ছ্বাস নয়, মিছিল নয়, স্লোগান নয়। মহান আল্লাহর শানে আসুন মাথানত করি। আল্লাহর শোকর আদায় করি।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটি চত্বরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের কারামুক্তি উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ড. আবু রুবাবা, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, আ স ম মামুন শাহীন, মীম মিরাজ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, অধ্যাপক আবু সাঈফা, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আলম মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, হরিণটানা থানা আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর, লবণচরা থানা আমীর মোজাফ্ফর হোসেন, আড়ংঘাটা থানা আমীর মুনাওয়ার আনসারী, মাওলানা মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হাসান প্রমুখ।

পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস।
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার এতদিন জেলে বন্দি করে রেখেছিল। সত্যকে কখনও দাবায় রাখা যায় না। এ রায়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। দেশবাসীর মতো আমরা এ রায়ে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী, আইনজীবী প্যানেল এবং সব শুভানুধ্যায়ী যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই রায় সম্ভব হয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জুলাইয়ের গণআন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রসঙ্গত, এটিএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি। গ্রেফতারের আগে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.