দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

এ রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে…..মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

আদালত কর্তৃক নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় খুলনায় মহানগরীর দোয়া অনুষ্ঠান

21

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে আমাদের আপিল গ্রহণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমাদের পাশে থাকা বিজ্ঞ আইনজীবী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ তিনি বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম হয়েছে।

এ রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেন, পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

রোববার (১ জুন) বিকেলে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে আদালত কর্তৃক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন। বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন। অন্যান্যের মধ্যে খুলনা মহানগরীর জামায়াতের সাবেক আমীর এডভোকেট আনসার উদ্দীন, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ড. আবু রুবাবা, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, আ স ম মামুন শাহীন, মীম মিরাজ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, অধ্যাপক আবু সাঈফা, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, হরিণটানা থানা আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর, লবণচরা থানা আমীর মোজাফ্ফর হোসেন, আড়ংঘাটা থানা আমীর মুনাওয়ার আনসারী, মাওলানা মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। পরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮-এর পূর্বে ও পরে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং প্রতিটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে দলের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া মেনে দলটি নিবন্ধিত হয়। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ মহলের উদ্যোগে নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে।’

সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। নিশ্চয় মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার লক্ষ লক্ষ আলেম-উলামাদের বিনা বিচারে কারাবন্দি করেছে, গুম-খুন ও ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ যদি কাউকে রক্ষা করতে চান, পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাকে মারতে পারে না। ছাত্র জনতা ৩৬ দিনের এর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। ৯ মাসের মাথায় তাদেরই করা আইনে তারা নিষিদ্ধ হয়েছে। ওই খুনি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে আমাদের ৬ জন ভাইকে ফাঁসি দিয়েছে। অনেককে জেল খানার মধ্যে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। অনেক ভাই শাহাদাৎবরণ করেছে অনেক ভাই পঙ্গুত্ববরণ করেছে তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। আল্লাহ আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার না করা হবে ততদিন পর্যন্ত তারা বিশ্রাম করবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.