দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

একই দিনে নির্বাচন-গণভোট করা ইসির জন্য কঠিন: সিইসি

56

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আগের কোনো নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হয়নি।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস আয়োজিত একটি কর্মশালায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সিইসি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আগামী সপ্তাহে গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাস হলে প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে কমিশন।

তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন কমিশন এমন সব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, যেগুলো আগের কমিশনগুলোর সামনে ছিল না। আইন মেনে কাজ করাই আমাদের একমাত্র পথ। অন্য কোনো বিকল্প নেই।”

জনগণের উচ্চ প্রত্যাশার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। তার ভাষায়, “গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পেরেছি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা বেশি। এটি আমাদের জন্য বিশাল চাপ। তারপরও লক্ষ্য একটাই—স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোকেও সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, “আমাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজন—এর বেশি বা কম কিছু নয়।”

রাজনৈতিক পরিবেশ মসৃণ না হলেও নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ জানান তিনি। “আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দায়িত্বশীল ও অভিজ্ঞ—এটাই আমাদের বিশ্বাস,”—যোগ করেন সিইসি।

এছাড়া তিনি ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারের নাম এখনো ভোটার তালিকায় রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশন শনাক্ত করেছে।

আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মৃত ভোটারদের হয়ে অন্যরা ভোট দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিদেশে বসবাসকারী ব্যক্তিদের শুধু পাসপোর্ট দেখে পোস্টাল ভোটের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকে—এটিও যাচাই করা প্রয়োজন।

নীলফামারিতে মিয়ানমারের কমপক্ষে ২০–২৫ জন নাগরিক ভোটার হয়েছেন, যাদের শনাক্ত করেছে ইসি।

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ব্যালট কেমন হবে তা নিশ্চিত নয়। প্রস্তাবিত চারটি পয়েন্টে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভিত্তিক ভোট হবে বলেও জানান তিনি।

সবশেষে সিইসি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি এখন নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.