ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অব্যাহত বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আগ্রাসন বন্ধের আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় বোমাবর্ষণ থামছে না।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দিনভর ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো ৯৩টি বিমান হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন ৪৭ জন।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, “বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর বিষয়ে যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাস্তবে তারা আরও রক্তপাত ঘটাচ্ছে।”
সংগঠনটি আরও আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি— তারা যেন আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসে, ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ত্রাণ সহায়তা বাড়ায় এবং দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা এই ‘গণহত্যা’ ও গণঅনাহার বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিনভর চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন, ধ্বংস হয়েছে বহু বাড়িঘর ও অবকাঠামো।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে।” কারণ হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস এখন “টেকসই শান্তির পথে আগ্রহী।”
এছাড়া শনিবার মিসর ঘোষণা করেছে, সোমবার দেশটিতে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প তার ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং সংঘাত বন্ধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।