মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো তার প্রতি সহায়তা পুনরায় চালু করেনি। এসব বিষয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট।
৪ মার্চ, ট্রাম্পকে লেখা এক চিঠিতে জেলেনস্কি বলেন, “আমরা শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বের অধীনে কাজ করতে রাজি।” কিন্তু এই আহ্বানের পরও ৫ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ট্রাম্প যদি ধন্যবাদ চান, তবে আমরা তা মৃত ইউক্রেনীয় সৈনিকদের কবরের ওপর লিখবো।”
এদিকে, ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করছে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পৃথক সম্মেলন আয়োজন করেছে। তবে ফ্রান্সের এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাজ্যকে বিস্মিত করেছে।
জার্মানিও প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বে কনজারভেটিভরা প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর পক্ষে একমত হয়েছেন, যা অর্থনৈতিক বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
তবে ইউরোপের প্রতিক্রিয়া সমন্বয়হীন এবং দ্বিধাগ্রস্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা তাদের জন্য কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।