ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত দক্ষিণ রাশিয়ার একটি তেল পাম্পিং স্টেশন মেরামতের খরচ পশ্চিমা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবারের হামলায় কমপক্ষে সাতটি ইউক্রেনীয় ড্রোন স্টেশনটিতে আঘাত হানে, এতে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অপারেটররা বিকল্প পাম্পিং ব্যবস্থায় যেতে বাধ্য হয়েছে এবং তেল সরবরাহ ৩০-৪০% কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
নোভাক বলেন, স্টেশনটি জার্মানির সিমেন্সের মতো পশ্চিমা সরঞ্জাম ব্যবহার করে, যা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই পুরোপুরি মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন, ক্যাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়াম (CPC) পরিচালিত এই অবকাঠামোতে মার্কিন ও ইউরোপীয় কোম্পানির অংশীদারিত্ব থাকায়, তাদেরই মেরামতের দায়িত্ব নিতে হবে।
পুতিন বলেন, “যেহেতু তারা স্টেশনটির কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে আগ্রহী, তাহলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করুক। এতে তাদেরই লাভ!” CPC’র অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন জ্বালানি জায়ান্ট শেভরন ও এক্সনমোবিল। এই পাইপলাইন পশ্চিম কাজাখস্তান থেকে রাশিয়া হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তেল সরবরাহ করে, যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ প্রায় ৪০%!
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ একে সরাসরি মার্কিন কোম্পানি ও বিশ্ববাজারের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে, এই হামলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রুশ নীতির বিরুদ্ধে কিয়েভের ‘প্রতিশোধ’ বলে দাবি করেন তিনি।
এই হামলা ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বিশ্ব জ্বালানি বাজারে বড় ধাক্কা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমারা কি সত্যিই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে রাশিয়াকে সরঞ্জাম সরবরাহ করবে, নাকি এই সংঘাত আরও গভীর হবে—এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন!