দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে—–মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির

44

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সমাজের কেবল নির্দিষ্ট মানুষের জন্য আমাদের দাওয়াত নয়।

মনে রাখতে হবে আমাদের ওপরে সব মানুষের অধিকার ও হক রয়েছে। এই দাওয়াত পৌঁছে দেয়া মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আমানত। সে লক্ষ্যে প্রতিটি দায়িত্বশীলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এমনকি সবসময় যারা আমাদের বিরোধিতা করছেন, আমরা তাদেরকে আমাদের বন্ধু ও ভাই-বোনের মতো মনে করি। তাদের হেদায়েতের জন্য আমরা মহান রবের কাছে দোয়া অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, যোগ্যতা যাদের আছে আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্ব তাদের হাতেই দেন। এটাই আল্লাহর বিধান।

নিজেদেরকে জনগণের খেদমতের জন্য তৈরি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তিনি কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সেই ব্যক্তি সফল হবে, যে নিজেকে তাজকিয়া করতে পারলো, সংশোধন করতে পারলো। সংশোধনের এই ধারায়ই আমরা আছি। আজীবন থাকবো। মঞ্জিলে পৌঁছতে হলে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দুর্বল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোন ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সংগঠনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

আমাদের দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে এক রব এবং রাসুলকে (সা.) আমাদের নেতা মানার দাওয়াত। কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে বাংলাদেশে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান স্বপ্ন নিয়ে জামায়াত কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই কাজে একদিন সফল হব। শনিবার (২৮ জুন) খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা সহকারী সেক্রটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে কয়রা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি প্রভাষক মো. নুরুজ্জামান, যুব বিভাগের ইউনিয়ন সভাপতি ডি এম জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক নেজওয়ানুল করিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে কয়রা উপজেলার ৬৩ টি ওয়ার্ডের বাছাইকৃত তিন শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দারসে কুরআন পেশ করেন উপজেলা সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে নিজেদেরকে যোগ্যতার বিকাশ সাধন করে মানসম্পন্ন দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে দুনিয়ার পরিবর্তন সাধন করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। একইসাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের যাবতীয় কর্মতৎপরতা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কয়রা উপজেলার প্রত্যেক এলাকার ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে। মানব সেবার কাজ তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বলেন মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, তৃনমুল পর্যায়ে আমাদেরকে সংগঠন মজবুতির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখবেন সংগঠন মজবুত থাকলে যে কোন সময়ে যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব। পাশাপাশি এই সেশনে সকল বিভাগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল নেতৃবৃন্দকে সচেষ্ট হতে হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.