আমরা বসে থাকবো না, আমাদের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য ক্লাইমেট স্মার্ট যে টেকনোলজি আছে আমাদের সেগুলো নিয়ে আসতে হবে। এর মধ্যে একটা বড়ো টেকনোলজি হলো টালাইনিটি টলারেন্স যে জাতগুলো অর্থাৎ লবনাক্ত সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো নিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমাদের কৃষিটা আবার আমাদের জন্য লাভজনক হবে। কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ পরিকল্পনা কমিশন, ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন ।
ক্লাইমেট স্মাট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোন( ১ম সংশোধিত) প্রকল্প বৃহস্পতিবার (১মে) বিকেল ৪ টায় বটিয়াঘাটা উপজেলায় জলমা ইউনিয়নের চক্রাখালি মাঠে সাচিবুনিয়া- চক্রাখালি -সূর্যমুখি ভিলেজের কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি ।
সভার উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক ও জেলা মেজিস্টিট খুলনা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডিডি- ডিএই মো. নজরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নী এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা আলমগীর হোসেন।
ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুলনাবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হলো এখানকার তরমুজের কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং মিষ্টি। খুলনায় প্রচুর তরমুজ চাষ হয় এবং এখানকার চাষিদের জন্য এটা খুবই লাভজনক। খুলনার কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছে তরমুজের পাশাপাশি অল্পপরিমানে অনান্য লবনাক্ত সহিষ্ণু ফসল ও ফলাচ্ছেন যা বাজারে খুব উচ্চ মূল্যে পাওয়া যায়। অল্প খরচের মধ্যে লবনাক্ত সহিষ্ণু কিছু ফসল যেমন ধানের কিছু ভেরাইটি আছে যেগুলো লবনাক্ত সহিষ্ণু এবং সূর্যমুখি ফসল এটা লবনাক্ত সহিষ্ণু,সরিষার কিছু ভেরাইটি আছে যেটা চাষ করা সম্ভব। এগুলোর চাষ বাড়াতে হবে এগুলোতে পানি তুলনামূলক কম লাগে, এটি একটা বিকল্প টেকনোলজি।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখি তেলের জন্য যে মেশিন দেওয়া হয়েছে সেটা রিফাইন করে দেখাতে হবে যে সাদা তেল এখানে তৈরি করা সম্ভব। আর যদি এটা করতে না পারে তাহলে এটা চাষ করে কৃষক-কৃষাণী যেনো ক্ষতি প্রাপ্ত না হয় এটা খেয়াল রাখতে হবে। নারিকেল গাছের ক্ষেত্রে অনেক গুলো সমস্যা হচ্ছে, নারিকেল গাছের পরিচর্যাটা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে সেই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।