দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনা হবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে – যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সহ্য করা হবে না।
সভায় আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুমোদন ছাড়া রাস্তাঘাটে সভা-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, যাতে জনদুর্ভোগ এড়ানো যায়।
সভায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উৎসব ও অন্যান্য অনুষ্ঠানও স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হবে। আইন প্রয়োগকালে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার তৎপরতাও জোরদার করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পক্ষে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। পূজামণ্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে।’
সর্বশেষ এই পদক্ষেপ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন, যা রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।