দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

অভিশপ্ত ‘আয়নাঘর’

29

যারা বলতো আয়নাঘর বলে কিছু নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এর আয়নাঘর পরিদর্শনের পর সেই ধারণা ভেঙে গেলো। তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে যেনো দেখিয়ে দিলো ফেসিস্ট হাসিনার তৈরী আয়নাঘর কতটা ভয়ানক ছিলো। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যা রীতিমতো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

কোলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক অর্ক দেব এমন একটি ভাইরাল ছবি নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে আয়নাঘরে ইলেকট্রিক শক দেয়ার একটি চেয়ার। এটি নিয়ে এই সাংবাদিক লিখেছেন, হাসিনার ইলেকট্রিক শক দেয়া চেয়ার। এই চেয়ারটা দেখে রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা আয়নাঘরের একটি কক্ষে রাখা এই চেয়ার। ‘হাই ভ্যালু’ বন্দিদের ইলেক্ট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার। ডিজিএফআই-এর কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো সিটিআইবি এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল। সারাক্ষণ একজস্ট ফ্যান চলত এই ঘরগুলিতে, ফ্যান বন্ধ হলেই কান্না আর গোঙানির শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। আজ থেকে গোটা বিশ্ব আয়নাঘরের সব ছবি দেখবে।

শুধু এই ছবিটিই নয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, এটি সেই স্থান যেখানে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমানকে আট বছর ধরে শেখ হাসিনার পোষা নিরাপত্তা বাহিনী গোপনে আটকে রেখেছিল। আজ তিনি ঢাকায় আয়নাঘর পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার অগ্নিপরীক্ষার লোমহর্ষক কথা বর্ণনা করেন।

এছাড়াও আয়নাঘরের অসংখ্য ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হুমরি খেয়ে পরেছে নেটিজেনরা। ফেসিস্ট হাসিনা কতটা ভয়নক ছিলো তার প্রমাণ এই আয়নাঘর এমনটিই মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। অনেকেই মানুষ হত্যাকারী খুনি হাসিনার বিচার দাবি করেন। ফারজনা তাসনিম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, স্বৈরাচারের দালালরা তো বলেছিলো এদেশে আয়নাঘর বলে কিছু নেই। আজতো সব সামনে চলে এলো হাসিনা কতটা বহুরুপি ছিলো তারও প্রমাণ হলো। মানুষকে এভাবে এতটা কষ্ট দিয়েও বন্দি করে রাখা যায়? ফেসিস্ট হাসিনার বিচার চাই। আয়নাঘরের ভয়ানক এসব চিত্র দেখে অবাক হয়ে যান স্বয়ং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টসহ উপস্থিত অন্যান্য উপদেষ্টা ও দেশ বিদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.