সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গেছে উত্তেজিত কিছু লোকজন বেধড়ক মেরেছেন সিদ্দিককে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তবে ভিডিওতে এক যুবকের কথা শুনা গেছে, থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিদ্দিকুর রহমানকে। তবে কোন থানায় নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানতে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের ফোনে কল করা হলেও সাঁড়া মিলেনি। রমনা থানার ওসিকে ফোন দিলেও তিনি কেটে দেন।
তার ঘনিষ্টজনেরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে ভিডিওটি মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই পরিকল্পনা করছেন নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৭ আসন ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) সংসদীয় আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেও পাননি।
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকের ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান।
পরে ‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে অনেকের চোখে পড়েন। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ নাটক দুটি তাকে আরও পরিচিতি এনে দেয়।
কিছু চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে নেতা ও অভিনেতাকে।