দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

অতীতের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী জুলুম নির্যাতন দখলদারিত্ব জনগণ মেনে নেয়নি আগামি নির্বাচনেও এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না—-আজিজুল ইসলাম ফারাজী

108

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করার জন্য আল্লাহ আমাদের ওপর সিয়ামকে অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দিয়েছেন; তাই এ মুবারক মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে। যাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, শাড়ি লুঙ্গি বা খাদ্যদ্রব্য নয় বরং এমনভাবে যাকাত দেয়া উচিত, যাতে একজন ব্যক্তি স্বাবলম্বী ও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র না হওয়ায় সরকারি যাকাত ব্যবস্থাপনায় জনগণের আস্থা নেই, তাই মানুষ সরকারকে যাকাত দিতে চায় না। বিগত ১৫ বছরে তার উপর জুলুম নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা চেয়েছিলো তিলে তিলে দাড়ি টুপিওয়ালা মানুষ ও আলেম-উলামাদের শেষ করতে কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামিন তা হতে দেননি। অতীতের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী জুলুম নির্যাতন দখলদারিত্ব সাধারণ মানুষ যেমন মেনে নেয়নি আগামি নির্বাচনেও জনগণ এরকম কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না। বৃধবার (১৯ মার্চ) খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন ৬নং ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে পাবলা সবুজ সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।ওয়ার্ড সভাপতি মো. হাসানুল বান্নার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান, অফিস সম্পাদক আল-হাফিজ সোহাগ ও দৌলতপুর থানার প্রধান উপদেষ্টা মুশাররফ আনসারী। এতে অন্যান্যের মধ্যে দৌলতপুর থানা সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খান মাহবুবুর রহমান জুনাইদ ও ৬নং ওয়ার্ড এর প্রধান উপদেষ্টা মো. আমিনুল ইসলাম, দৌলতপুর থানার সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী জবেদ আলী, ৬ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মো. মহসিন হাওলাদার।আজিজুল ইসলাম ফারাজী আরও বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন না করতে এবং তাদের সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (সা.) এর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। শ্রমিকদের কেন্দ্র করে অনেক শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে উঠেছে। এই সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের কষ্ট ব্যথা বেদনার খবর জানেন। কিন্তু গতানুগতিক ধারার শ্রমিকনেতারা শ্রমিকদের দুর্দশা কীভাবে দূর করতে হবে সে সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নন বরং শ্রমিকদের পুঁজি করে কীভাবে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে হবে তা ভালো করে জানেন। ফলে শ্রমজীবী মানুষরা প্রতি যুগে এই সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন ও নেতৃত্বের কাছে বারবার প্রতারিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। আল্লাহ মানবজাতিকে ন্যায় ও ইনসাফের বিধান দিয়েছেন তা যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিপালন করা হয় তাহলে শ্রমিকের দুঃখ ব্যাথা বেদনা দূর হবে। ইনসাফের মানদন্ডের ওপর যার যার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.