এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকারের তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। এছাড়া বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগেও রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হবে।
এবারের রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ।’ শিলাইদহে ৩ (তিন) দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন গবেষক ও অধ্যাপক মনসুর মুসা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকায় সকল সড়কদ্বীপ এবং সকল জেলায় বিশ্বকবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ৩ (তিন) দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশ্বকবির ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ও চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
পিআইবি বলছে, অন্যান্য জেলায় জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় রবীন্দ্র গবেষক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধিজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্প কলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে ৬০০ স্মরণিকা ও ২০ হাজার পোস্টার মুদ্রণ করা হবে।