দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

সাতক্ষীরা জেলা জমিয়তের বিক্ষোভ সমাবেশ — অপূর্ব পালের ফাঁসি ও ব্লাসফেমি আইন কার্যকর করার দাবি

71

সাতক্ষীরা জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আহ্বানে ৭ অক্টোবর বাদ যোহর সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড় (শহীদ আসিফ চত্বর) এলাকায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে কোরআন অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত নর্থ–সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অপূর্ব পাল ও সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার সালাউদ্দিন সোহাগের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি — ফাঁসি দাবি করা হয় এবং অবিলম্বে কঠোর ব্লাসফেমি (ধর্মঅবমাননা) আইন কার্যকর করার জোর দাবি তোলা হয়।

সমাবেশ শুরু করেন সাতক্ষীরা জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুখলিছুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কোরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।”

মাওলানা মুজাহিদুল আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন—যা অগ্রহণযোগ্য বলে তার বক্তব্য। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে? তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে?”

সমাবেশে জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা আল মামুন, অর্থ সম্পাদক সালাউদ্দিন সহ জেলা ছাত্র জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও জমিয়তের বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে এক যৌথ সিদ্ধান্তে সরকারের কাছে দ্রুত এবং কার্যকর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ধর্মঅবমাননার প্রতিরোধের দাবি জানানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.