চলতি বছরের জুন মাসেও করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ জন। ২০২০ সালে হতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ জনকে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৪৭১ জন। আরা মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯৯ জন। সুস্থ হওয়া রোগীর হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মৃত্যুবরণ করার হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) আয়োজিত জেলা পর্যায়ে সরকারী স্টেকহোল্ডার, সিএসও অংশীদারগণ, ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতাদের সাথে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসকের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মিলন সাহা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক বিকাশ দাস, উপপরিচালক মোঃ আকিব উদ্দিন, ডা: মোঃ আঃ মান্নান শেখ। এফপিএবির কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ মুশফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইমাম মোঃ আব্দুল্লাহ, দৈনিক ইনকিলাবের খুলনা ব্যুরো প্রধান আসাফুর রহমান কাজল, দৈনিক আকজের সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি এসএম আবু হারুনার রশীদ, ঢাকা আহসানিয়া মিশন খুলনার ম্যানেজার মোঃ কবীর হোসেন, সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার ববিতা রানী দাস, রূপসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান, অ্যাড. তছলিমা আক্তার ছন্দা, এফপিএবির খুলনা জেলা কর্তকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সীমা আক্তার প্রমুখ।
সভায় আরো জানানো হয়, সরকার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করলে এফপিএবি সরকারের সম্পূরক ও পরিপূরক সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে ২৩টি জেলায় ২১টি পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক, ২টি বিশেষ কর্ম ইউনিট, ৭২টি এফডিসি, ২১টি তারার মেলা (যুব বান্ধব ক্লিনিক) ও সিবিডি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৫০ লাখ জনগনের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যার মধ্যে ৫৩ শতাংশ যুব সমাজ। আর খুলনা শাখার আওতায় ২ টি উপজেলায় ১৭ হাজার ২৩৭ জন সক্ষম দম্পতি নিয়ে সিবিডি কার্যক্রম করেছে। এ এলাকায় জন্ম নিয়োন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণকারির সংখ্যা ১৪ হাজার ১৭ জন।
এ ছাড়া সংস্থাটি কর্মএলাকায় স্যাটেলাইট সেবার মাধ্যমে সচেতনতামূলক (প্রজনন স্বাস্থ্য, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, বাল্যবিবাহ, পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি, কোভিড-১৯ বিষয়ক, পারিবারিক সহিংসতা, নারীর প্রতি সহিংসতা) ইত্যাদি বিষয়ের উপর মানুষকে সচেতন করে থাকে।