দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতা সাধারণ

43

গাজী আবুল হোসেন :লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম , বেকায়দায় পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

নির্ধারিত অল্প বেতনের চাকরিজীবীরাও পড়েছে বিপদে। বেতন বাড়ছে না সাধারণ মানুষের আয়ও বাড়ছে না অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে ।

নিম্ন আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। চাউল, আটা, শাকসবজি, তরিতরকারি, মাছ, মাংস সব কিছুরই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৩ আগস্ট শনিবার সরেজমিনে অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ১৫ দিনে ৩৬ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৪/ ৪৫ টাকা কেজি দরে। মসুর ডাল ৯৮ থেকে ১০৫ টাকা কেজি।

ডিমের হালি সাদা ৪৪ লাল ৪৬ টাকা। সয়াবিন তেল খুচরা ১৮৫ টাকা লিটার। পটল ৪০/ ৪৫, আলু ২০-২৫, করলা ৮০-৮৫, পিয়াজ ৭০, রসুন ৯০-১০০, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, শসা ৪০, খিরাই ৫০, কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০-১৬০, ধুন্দল ৫৫, কুমড়া ৬০, কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা কেজি, কাঁচা কলা ৩০-৩৫ টাকা হালি।

পল্টি মুরগি ১৮০, সোনালী ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২৩০, রুই কাতলা সাড়ে তিনশত টাকা কেজি। জাটকা ইলিশ সাত শত টাকা। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে লাগবে ১৬০০ থেকে ২১০০ টাকা। গুয়া খোলা গ্রামের দিনমজুর সবুর বলেন, বাজার করতে এসেছি কিন্তু কি কিনব ভেবে পাচ্ছিনা। চেঙ্গুটিয়া গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল বলেন , এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ইনকাম কম কিন্তু বাজার মূল্য অনেক বেশি।

বিক্রেতারা বলছেন বর্ষার কারণে তরি তরকারি, শাক সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চাউল আটা, হলুদ, ডাউল মাছ-মাংসের বিক্রেতারা মূল্য বৃদ্ধির সঠিক যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.