যশোরের মণিরামপুরে আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী স্বরুপজান বেগম সাথী (৪৫) এর হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দূর্বাডাজ্ঞা ইউনিয়নের আত্তাপমুন্সি মোড়ে। স্বরুপজান বেগম সাথী দূর্বাডাজ্ঞা ইউনিয়নের রহিম বাক্সের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে, রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে শুয়ে পড়েন স্বরুপজান সাথী।
পরদিন সকালে, তার সতিনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫) ভিকটিমকে ডাকার জন্য তার ঘরে গেলে, ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সম্মুখীন হন। ফাতেমা ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন যে, স্বরুপজান গলাকাটা এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ মিন্টু এবং তার প্রথম স্ত্রী সুমা পারভীনের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা থাকায়, পুলিশ তাকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ধরতে পারে।এখনো পর্যন্ত হত্যার কারণ স্পষ্ট না হলেও, পুলিশ তদন্তে নেমেছে এবং ঘটনা সম্পর্কে অধিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় মেম্বার রেজাউল করিম জানান মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহ মাদক মামলা অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলার আসামি তাই আমি সহ এলাকাবাসী এই ঘটনায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও সতিন পলাতক রয়েছে।এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা, যা নারীর প্রতি সহিংসতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, লাশ উদ্দ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনা উদঘাটন করা ও আসামি দ্রুত গ্রেফতারে কাজ করছে ।