দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় দুর্নীতির উৎসব

এক মনিটরের মূল্য ১,০৬,১৪৪ টাকা!

57

যশোরের কেশবপুর পৌরসভা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে-এমন অভিযোগ বহুদিনের। এবার নতুন করে নজরে এসেছে কম্পিউটার (মনিটর ও পিসি) ক্রয়ে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পৌর প্রশাসকের অধীনে সম্প্রতি পাঁচ টি এইচপি ২১ ইঞ্চি মনিটরসহ পিসি ক্রয় করা ছে, তার প্রকৃত মূন্য মাত্র ২০ হাজার ৯০০ টাকা করে হলেও, প্রতি মনিটরের দাম এক লাখ ছয় হাজার ১৪৪ টাকা দেখিয়ে মোট পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭২০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, প্রতিটি মনিটরের প্রকৃত মূল্য থেকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থ থেকে একযোগে চার লাখ ২৬ হাজার ২২০ টাকা লোপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লের আমল থেকেই কেশবপুর পৌরসভায় অনিয়মের মাত্রা অতিক্রম করে। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেশবপুর পৌরসভায় একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্নীতির ধারা থেমে থাকেনি। পৌরসভায় বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও প্রশাসকের আগমনের পূর্বে এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন।

কেশবপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। পূর্ববর্তী সময়ের কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা আমার দায় নয়। তবে তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রেকসানা খাতুন বলেন, ‘আমি গত ১৭ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর আগের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, এ ঘটনায় কেশবপুর পৌরবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, ‘একটি সাধারণ মনিটরের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুট করে নেওয়া হয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে সরাসরি * প্রতারণা।’ তারা এ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তদন্তের দাবি করেছেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.