দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

13

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবায় নতুন সংযোজন। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ যেখানে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হলো।

এর আগে, গত ২৫ মার্চ বিটিআরসি স্টারলিংকের জন্য লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। পরবর্তীতে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিয়ে স্টারলিংক আবেদন করে, যার প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল কমিশন সভায় নীতিগতভাবে লাইসেন্স ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধের বিরুদ্ধে স্টারলিংক আনার দাবি জোরালো হয়। দুর্গম, দ্বীপ ও উপকূলীয় এলাকায় মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও জানান, ফাইবার নেটওয়ার্ক সীমিত থাকায় এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্নের কারণে স্টারলিংক হবে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির বিকল্প। এছাড়া দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও স্টারলিংকের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যাবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের আগমনে বাংলাদেশের মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং ইন্টারনেট সেবা ডিজিটাল সার্ভিসকেন্দ্রিক নতুন রূপ নেবে। ফলে শহর ও গ্রামভেদে সবার জন্য মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার নিশ্চয়তা তৈরি হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.