এম এম জামান মনি :তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খামখেয়ালী ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারোটা এসির মধ্যে দশটি এসির আউটডোর চুরি হয়ে গেছে তার খবর কোন কর্মকর্তা বলতে পারেনা । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাজিব সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের খবর প্রকাশিত হবার পরেও বিশেষ তবিয়াতে বহাল রয়েছে।
কোয়াটারে থাকার কথা থাকলেও নিজের বাসা চুকনগর থেকে আসা-যাওয়া করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন অফিস করে সেটাও ফুল টাইম ডিউটি করে না এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৮ আগস্ট সোমবার ১২ টার দিকে যেয়ে দেখা যায় ৭ জন ডাক্তার আউটডোরে রোগী দেখার কথা থাকলেও উপস্থিত আছে মাত্র তিনজন। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসলেও তিন চার জনের বেশি ডাক্তার থাকেনা এমনটাই দাবি করেন স্থানীয়রা।
আতাউর রহমান নামে একজন রোগী বলেন ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আমাদের, যার যে সমস্যা থাকুক না কেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার খালিদ হাসান নয়ন একাই প্রেসক্রিপশন করে। আব্দুল হামিদ নামে একজন বলেন প্রেসক্রিপশন করার পরে যখন আমরা ওষুধ চায় বলে স্টোকে কোন ঔষধ নাই। ফয়সাল নামে একজন বলে কোন টেস্ট দিলে বাইরে থেকে করে আনতে বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাজিব সরকারের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমাদের স্টকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ আছে। চারজন ডাক্তার অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফয়সাল সরদার ছুটিতে আছে। জুনিয়র কনসার্টেন্ট অরথোপেডিক ডাক্তার জ্যোতির্ময় সরকার এসে দেখা করে চলে গেছে। সিনিয়র কনসার্টেন্ট ডাক্তার নাজমুন নাহার বাহিরে আছে। মেডিকেল অফিসার মানোস কুমার সিংহ উইদাউট পেতে এক বছরের ছুটিতে আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানীকে বারবার ফোন দিলে রিসিভ না করাই সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয়নি।