দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ডুমুরিয়ায় ঈদের ছুটিতেও মিলেছে চিকিৎসা সেবা

42

এবছর ঈদুল ফিতরের ছুটি ছিলো বেশ দীর্ঘ। সরকারি কর্মকর্তারা টানা ৯ দিনের ছুটি ভোগ করলেও থেমে থাকেনি খুলনার ডুমুরিয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে ২৯ মার্চ শুরু হয়েছিলো ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। একইসঙ্গে ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। ফলে বাস্তবে ২৮ মার্চ থেকেই ছুটি শুরু হয়। পূর্ব ঘোষণানুযায়ী ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (৩এপ্রিল), তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের ছুটির মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো খোলা ছিলো। এসব হাসপাতালে রোগিদের জরুরী চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে এক সুস্থ কন্যা শিশুর জন্ম হয়। ডুমুরিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনস্থ ১৩টি কেন্দ্রে ঈদের ছুটিতে তিন শতাধিক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬১ জন সাধারণ রোগী, শিশুরোগী ৮৪ জন, গর্ভকালীন সেবা দেওয়া হয়েছে ৩৬জনকে, প্রসব পরবর্তী সেবা ৮ জন, স্বাভাবিক প্রসব সেবা ১ জন এবং ২৪ জন গ্রহিতাকে পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমানে কেন্দ্রগুলিতে ওষুধ পত্রের কিছুটা সংকট এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সমূহের অপ্রতুলতা থাকা সত্তে¡ও কেন্দ্রের কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ছুটি কালীন এই সেবা প্রদান সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহসেনা ফেরদৌসী। তিনি ডুমুরিয়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনস্থ সকল কর্মচারীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় জরুরি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা ছিল। এ ব্যাপারে সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন খুলনা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক বিকাশ কুমার দাস, খুলনা জেলার উপপরিচালক মোঃ আকিব উদ্দিন এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান।
সারা দেশে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনস্ত সেবা কেন্দ্র গুলো অত্যন্ত সফলতার সাথে কয়েক যুগ ধরে সেবা প্রদান করে আসছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এই অধিদপ্তরের রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.