বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিধান চন্দ্র ব্রহ্মের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। প্রধান শিক্ষকের রোষানল থেকে বাঁচতে সহকারি শিক্ষক প্রভাত কুমার মজুমদার ও সদ্য বিদায়ী সহকারি শিক্ষক রঞ্জন কুমার মন্ডল এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তাঁরা বিধান চন্দ্র ব্রহ্মকে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে বিগত সরকারের আমলে প্রধান শিক্ষকের নানা অপরাধমূলক ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রভাত কুমার মজুমদার বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ সরকারের এই শিক্ষক নেতা দীর্ঘ ৯ বছর আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষদের উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালিয়েছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার ও তাঁর অনুচরেরা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও চিতলমারী আওয়ামী লীগের এই ক্ষমতাধর নেতা প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র ব্রহ্ম বীরদর্প চালানোর প্রাঁয়তারা করছেন। তিনি তাঁর দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী শিক্ষক রঞ্জন কুমার মন্ডল ও আমার নামে গত ১৯ ফেব্রæয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি নিয়ে অবৈধ ভাবে সরকারি টাকা আত্মসাত করছি মর্মে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রধান শিক্ষকের অনুমোদন বা স্বাক্ষর ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রানালয় দেয় না। তাহলে প্রধান শিক্ষক কেন আমাদের দীর্ঘ ৯ বছর বেতন-ভাতা তোলার সুযোগ দিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ১৯ ফেব্রæয়ারী। তাহলে কেন তিনি আমাকে ফেব্রæয়ারী মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলনের সুযোগ দিলেন। এতেই প্রমান হয় যে, প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা বিধান চন্দ্র ব্রহ্ম আমাদের হায়রানি করতেই এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষক অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, শিক্ষার্থী অভিভাবক আকরাম শিকদার ও পল্লী চিকিৎসক বদরুল আলম।
কালশিরা রাজেন্দ্র স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিধান চন্দ্র ব্রহ্ম একটি বিস্ফোরক মামলায় জেল হাজতে থাকায় তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।