বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেয়েছে ‘দানা’। এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে যাচ্ছে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।সমুদ্রবন্দরে বহাল রাখা হয়েছে ৩ নম্বর সংকেত। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এর প্রভাবে খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ নিয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বিশেষ করে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
এমন বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারবেন। এসব শেল্টারে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৩টি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদিপশু রাখা যাবে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: আমিরুল আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঝড় যাচ্ছে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গের দিকে। যার কারণে খুলনায় ঝড় নিয়ে আতঙ্কের তেমন কিছু নেই। শুধু দমকা বাতাস ও বৃষ্টি হতে পারে।