কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে খুলনা জেলার কয়রা উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে। এরই মধ্য কযরার মানুষ দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে। উপকূলীয় কয়রাবাসীর আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ডানা আঘাত হানলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও এলাকা প্লাবিত হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নদ-নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেঙে যেতে পারে দুর্বল বেড়িবাঁধ। শুধু কয়রাবাসী নয় এজন্য উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চিন্তিত সকলেই। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার বিকাল ৩ টায় কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভার আহ্বান করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, ঘুর্নিঝড় ডানা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়রার ১১৬ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্য মাইকিং করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সব জায়গায় সিপিপি সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে গ্রহন করছে। পাউবোর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, কয়রা ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। পাউবোর পক্ষ থেকে বাশ, বল্লী, বস্তা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদে দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি বিষয় বুধবার সকালে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, শাকবাড়িয়া নদীর গাববুনিয়া এলাকায় বাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।