দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

গাজায় দ্বিতীয় নাকবার আশঙ্কা দেখছে জাতিসংঘ

73

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত ও মানবিক সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি সতর্ক করেছে, বিশ্ব হয়তো একটি নতুন “নাকবা” প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ৭৬০,০০০ ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি থেকে উৎখাত হন। এ ঘটনা “নাকবা” বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। জাতিসংঘের কমিটি বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতি সেই ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

কমিটি ইসরাইলকে “জাতিগত নির্মূলকরণ” এবং “অবর্ণনীয় দুর্ভোগ” সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, ইসরাইল গাজার উত্তরের হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে ছয়টি শিবিরে সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। কমিটির মতে, ইসরাইলের নিরাপত্তা অভিযানগুলি আসলে ভূমি দখল, গণউচ্ছেদ, বসতি ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে ইহুদি বসতিতে প্রতিস্থাপনের জন্য একটি ছদ্মবেশ মাত্র।

কমিটি ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ, যৌন সহিংসতা এবং বন্দিশিবিরে নিষ্ঠুরতা চালানোর অভিযোগ এনেছে। তারা বলেছে, এই পদ্ধতিগুলি ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত।

গাজায় ইসরাইলের অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না। কমিটি বলেছে, “এটি এমন একটি বাস্তবতা যেখানে একটি সরকার তার জনগণকে অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যখন খাদ্যবাহী ট্রাকগুলি মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অপেক্ষা করছে।”

জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলবে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি সংকটের জন্ম দেবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.