কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রার বিভিন্ন এলাকয় তীব্র শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
এই পরিস্থিতিতে সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য “বুরো বাংলাদেশ” শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়রায় ৫শ,তাধিক ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার ( ৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কয়রা শাকবাড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে “বুরো বাংলাদেশ” শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বুরো বাংলাদেশ খুলনার আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক বাবুল কুমার সাহা,র সভাপতিত্বে ও উর্ধ্বতন প্রশিক্ষক মাহবুব হাসানের সঞ্চলনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস, বিশেষ অতিথী ছিলেন ‘বুরো বাংলাদেশ ‘খুলনার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আল আমিন খান , এতে আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা শাকবাড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, কয়রা থানার এস আই এম আব্দুস সামাদ , বুরো বাংলাদেশ খুলনা এলাকা ব্যবস্থাপক মোঃ আইনুল হোসেন, পাইকগাছা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ কামাল পাশা , কয়রা শাখা ব্যাবস্থাপ খান আহম্মেদ শরীফ, সাতক্ষীরা এলাক ব্যাবস্থাপক মোঃ আবু সাইদ সহ কয়রা শাখার সকল কর্মকর্তাবৃন্দ ৬ নং কয়রা গ্রামের ষাটউর্ধ্বো উর্মিলা মন্ডল বলনে, এই শীতে অনেক কষ্ট করে রাত পার করতে হয়। একটা কম্বলের খুব দরকার ছিল। শীতের সময়টা খুবই কষ্টকর। কিন্তু আজ যখন কম্বল পেলাম, মনে হলো কিছুটা শান্তি পেতে পারব। আমি এই কম্বলটা পেয়ে খুব খুশি ।
বুরো বাংলাদেশ খুলনার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আল আমিন খান বলেন, শীতের কারণে অনেক মানুষের জীবনযাত্রা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, গৃহহীন এবং নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এই শীতে বাইরে থাকার কথা চিন্তা করাও অনেক কঠিন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। ভবিষ্যৎে আমাদের এ ধরনের কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আর্থিক সেবার পাশাপাশি র্যমিটেন্স কর্মসূচী স্বাস্থ্য , শিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি, পানি ও পয়ঃ নিষ্কাষন, বাল্য বিবাহ, এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্রকল্প ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কর্মসূচী নিয়ে বুরো রো বাংলাদেশ সেবামূলক কাজ করে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস বলেন, এই শীতবস্ত্র (কম্বল)গুলো শীতার্ত মানুষের কিছুটা হলেও কষ্ট কমাবে এবং তাদের জীবনযাত্রা সহজ করবে। তবে, শীতকালীন সহায়তা শুধু আজকের দিনে নয়, বরং পুরো শীত মৌসুমে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বদা জনগণের পাশে আছি এবং তাদের যে কোন প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত। সকলকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বুরো বাংলাদেশে মতো একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দায়িত্ব। আমরা যদি একে অপরকে সাহায্য করি, তবে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধ হবে।