ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে জনগণেরশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে–এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতই যারা নিজস্ব মতবাদে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে এবং করবে তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে এবং আগামীতেও দিবে। মানুষের তৈরি আইনে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের উপকার হয়, জনগণের নয়। বরং তারা জনগণকে চুষে খেয়েছে । তাই ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রমাদান কুরআন নাযিলের ও বিজয়ের মাস। এই রমাদানের শিক্ষায় বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় কুরআনের শাসন কায়েমের মাধ্যমে কুরআনের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার (১৯ মার্চ) খুলনা মহানগরীর সদও থানাধীন ২৩ নং ওয়ার্ডের ইউসুফিয়া ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।ইউসুফিয়া ইউনিটের সভাপতি ও ২৩ নং ওয়ার্ড যুববিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, সদর থানার সহকারী সেক্রেটারি ও ২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি হুমায়ুুন কবির, সদর থানার বায়তুমাল সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জম হুসাইন, থানা প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সাইফুল্লাহ মনসুর, ২৩ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা সাব্বির তরফদার। ইউসুফিয়া ইউনিটের সেক্রেটারি মাসুদ রানার পরিচালনায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদর থানা সভাপতি সাকিবুল ইসলাম ও ২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মহিউল ইসলাম, ওয়ার্ড জামায়াতের সমাজসেবা সম্পাদক আবু সাঈদ, ফুল মার্কেটে ইউনিটের সভাপতি এম এম জামিরুল ইসলাম, ডাকবাংলা ইউনিটের সভাপতি কাজী মো. ইউনুছ, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুল্লাহ বেলালী, রয়েল মোড় ইউনিটের সভাপতি আব্দুল হাকিম, মো. শাহজাহান, মো. লাভলু সরদার, মানজারুল ইসলাম, আল-আমিন, নুরে আলম মানিক, মো. সোহেল উপস্থিত ছিলেন।কুরআনের সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে সোনার মদিনার মতই সোনার বাংলা গঠন করতে হবে উল্লেখ করে এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, যেই সমাজ ব্যবস্থায় মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেই সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। সোনার মদিনা গঠনের আগে মহানবী (সা.) সোনার মানুষ তৈরি করেছে। সোনার বাংলা গঠনের জন্য জামায়াতে ইসলামীতে অসংখ্য সোনার মানুষ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির অসংখ্য মানুষকে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সোনার মানুষ হিসেবে তৈরি করেছে। যার প্রমাণ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুজাহিদসহ শত-শত জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যাদের দায়িত্ব পালনে এক পয়সা দুর্নীতি অভিযোগ আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। কারণ যাদের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় আছে তারা জনগণের সম্পদ লুট করে না, করবেও না।আগামী নির্বাচন হবে অতীতর সকল নির্বাচনের মধ্যে কঠিন এক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে বাতিল ও হকের মধ্যে লড়াইয়ের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এদেশের জনগণের উপর আবারো ভারতীয় আধিপত্য বিস্তার করবে। ইতোমধ্যে সেই আলামত দেখা যাচ্ছে। ভারত আওয়ামী লীগকে হারিয়ে এখন আরেক দলকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এদেশে ভারতীয় আধিপাত্যবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে। জনগণ সজাগ থাকলে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সকল অপশক্তি, পরাশক্তি পরাজিত হবে। তিনি দেশবাসীকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকা তলে আসার আহ্বান জানান।#