দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

অপরিকল্পিত চিংড়ি ঘেরে দূর্বল বাঁধ,

কয়রায় বেড়িবাঁধ থেকে লবন পানি উত্তোলনের অবৈধ পাইপ অপসারণ,

79

কয়রা(খুলনা)সংবাদদাতা:সুন্দরবন বেষ্টিত কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা এই ৩ নদ-নদীর ১৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ঘেরা খুলনার কয়রা উপজেলা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণাধীন ওই বেড়িবাঁধ কেটে কিংবা ছিদ্র করে নদীর লোনাপানি ঢুকিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক হাজার অপরিকল্পিত চিংড়িঘের এতে দুর্বল হচ্ছে বাঁধ। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মানুষ বসতভিটা হারানোর পাশাপাশি লোনাপানির বিরূপ প্রভাবে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদ সম্পদ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট ) সকালে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ১৩-১৪/২ পোল্ডারে হোগলা বাজার থেকে দশহালিয়া এলাকা অভিমূখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ অভিযানে বেড়িবাঁধ থেকে লবণ পানি উত্তোলনের অবৈধ ১১ টি পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।

অবৈধ এ পাইপ অপসারণ অভিযান চলাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রশাসনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের সুবিধার জন্য বেড়িবাঁধ কেটে বা ফুটো করে পাইপ বসিয়ে অবৈধভাবে নদীর লবন পানি তুলে অপরিকল্পিত ভাবে চিংড়ি ঘেরে প্রবাহিত করছিল, যা বেঁড়িবাঁধের স্থায়িত্ব ও পরিবোশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সুলাইমান হোসেন বলেন,বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে লবন পানি উত্তোলন সম্পুর্ন অবৈধ। এটি শুধু বেড়িবাঁধের জন্য ক্ষতি নয়, হাজারো মানুষের জীবনের জন্য হুমকি।
এসব বেঁড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।আমরা ঘের মালিকদের একাধিকবার সতর্ক করেছি তারা কর্নপাত করেনি।

অবৈধ লবণ পানি উত্তোলনকারী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত এধরণের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.